সরকারকে ধান ও চাল সরবরাহে মিলারদের অস্থিরতা
চলতি আমন মৌসুমে সরকারের সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৬ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু সরকার দাম না বাড়ালে চাল সরবরাহ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মিলাররা। তবে আপাতত দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানায় খাদ্য বিভাগ।
চলতি বছর ১ কোটি ৫৪ লাখ টন আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে তথ্য বলছে, উৎপাদন কমবে এক তৃতীয়াংশ। আর ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এ বছর আছে ১৫ হাজার মেট্রিকটন। গত বছর যা ছিল ২৬ হাজার মেট্রিকটন। তুলনামূলক অনেক কমে গেছে।
উৎপাদন কমের মধ্যেই খাদ্য বিভাগের লক্ষ্য রয়েছে এবারের আমনে সাড়ে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান ও চাল সংগ্রহের। যা গতবছরের চেয়ে ২ লাখ টন কম। কিন্তু বাজারের চেয়ে সরকার নির্ধারিত দাম কম হওয়ায় মূল্য বৃদ্ধির দাবি মিলারদের। তারা জানান, এখন ধানের যে দাম, তাতে এ বছর সরকারকে চাল দিলে আমাদের অনেক লোকসান হবে।
এদিকে ১০ ডিসেম্বর চুক্তির তারিখ শেষ হলেও কৃষক ও সরবরাহকারীর কাঙিক্ষত সাড়া মিলছে না স্থানীয় পর্যায়ে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম তাহসিনুল হক জানান, চুক্তিবদ্ধ মিল ছিল ৩২৬টি। তার মধ্যে ১০২টি মিল আমাদের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছে।
উৎপাদন কম, ব্যবসায়িক জটিলতা ও বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির সংকটের আশঙ্কায় বিশ্ববাজারে নজর দিয়েছে সরকার। আপাতত চালের দাম বাড়ানো হবে না বলেও জানান খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ।
আর বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সংকটের আশঙ্কা থাকলে আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে।
সংগ্রহের এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সারাদেশে ২৫৭ টন ধান এবং সিদ্ধ ও আতপ চাল সংগ্রহ হয়েছে ১১ হাজার ৫১৮ টন।